নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: তেলের দাম বৃদ্ধিতে ৩য় দিনের মতো বন্ধ রয়েছে মোগরাপাড়া টু গুলিস্থান এর গণপরিবহন। ফলে চরম ভোগান্তীতে পড়েছে যাত্রীরা। বিকল্প পরিবহন ব্যবহারে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ যা গণপরিবহনের তুলনায় কয়েকগুন। যাত্রীদের দাবি হঠাৎ করে তেলের মুল্য করে গণপরিবহনের যে অরাজকতা শুরু হয়েছে তা পরিবহন শ্রমিকদের সাথে সরকারেরর লোকজন বসে একটা জনকল্যানমুখি সিদ্বান্ত নিয়ে জনগনকে দ্রুত ভোগান্তী থেকে মুক্তি দেয়া। এদিকে শ্রমিক নেতা শাহজাহান খাঁন জানান কারা গণপরিবহন ও ট্রাক বন্ধের ঘোষনা দিয়েছেন তা তিনি জানেন।
জানাগেছে, গত বুধবার রাতে হঠাৎ করে ডিজেল ও করোসিনের বর্তমান মুল্যের চেয়ে ১০টাকা বাড়ানো হয়েছে। হঠাৎ করে মুল্য বৃদ্ধির ফলে পরিবহন মালিকরা দিশেহারা হয়ে পড়েন। তারা যে মুল্যে ভাড়া নেন তাতে তেলের মুল্য বৃদ্ধিতে লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে। ফলে তারা তেলের মুল্য বৃদ্ধির সাথে তাদের ইচ্ছানুযায়ী ভাড়া বৃদ্ধিতে ক্ষোভ করে করে যাত্রীরা। এতে যাত্রীদের সাথে ভাড়া নিয়ে ঝগড়া ও বাকবিতন্ডা শুরু হয়। একদিন গাড়ী চালানোর পর মালিক ও শ্রমিকরা তেলের মুল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ ও তেলের মুল্যের সাথে ভাড়া বাড়ানোর জন্য অনিদিষ্ট কালের জন্য গণপরিবহন ও মালবাহী ট্রাক বন্ধ করে দেন।
এদিকে হঠাৎ করে তেলের মুল্য বৃদ্ধির কারণে গণ পরিবহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়ে যাত্রীরা। গণপরিবহন বন্ধ থাকার কারণে বিকল্প পরিবহনে ঢাকা থেকে অন্য এলাকায় যেতে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে কয়েকগুন ভাড়া বেশী গুনতে হচ্ছে। গনপরিবহনের ভাড়া যেখানে ৪৫ টাকা সেখানে বিকল্প পরিবহনে গুনতে হচ্ছে ১০০/১২০ টাকা। এতে চরম অর্থ বিপাকে পড়েছে নিম্ন বেতনের কর্মচারী ও নিম্ন আয়ের মানুষগুলো।
গনপরিবহনে যাতায়াতকারী যাত্রী রুবেল জানান, গণপরিবহনে ঢাকা যেতে আমার প্রতিদিন আসা যাওয়ায় খরচ হতো ৯০ টাকা সেখানে ঢাকা যেতেই খরচ হচ্ছে ১০০/১২০ টাকা। এভাবে চলতে থাকলে হয়তো ঢাকা চলে যেতে হবে নয়তো চাকরী ছাড়তে হবে।
স্বদেশ পরিবহনের চেয়ারম্যান রহমান মিয়া জানান, হঠাৎ করে তেলের মুল্য বৃদ্বিতে আমাদের গুলিস্থান আসা যাওয়ায় খরচ বেড়ে গেছে ২০০ শত টাকা মতো। সে হিসেবে প্রতিদিন এক একটা গাড়ির খরচ বেড়েছে ১৬/১৭ শত টাকার মতো। আমরা যে পরিমান টাকা ভাড়া নেই এতে লাভ তো দুরের কথা নিজের পকেট থেকে টাকা নিয়ে তেল কিনতে হবে। সেজন্য আমরা সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি তেলের মুল্য বৃদ্বির সাথে আমাদের ভাড়াও সে হারে বৃদ্বি করে দেয়া হোক যাতে পরিবহন মালিক ও যাত্রী কেউ ক্ষতিগ্রস্থ না হয়।